দর্শক সংখ্যা

Saturday, June 29, 2013

হাদিস সফটওয়্যার- Hadith Software 8th version

হাদিস সফটওয়্যার

#ডিজিটাল_বাংলা_হাদিস_টিম_DBHT" একটি বাংলা হাদিসের ইউনিকোড সফটওয়্যার। যা সম্পুর্ণ অফলাইন ভিত্তিক সফটওয়্যার। এখানে আপনি পাবেন ৫০ হাজারেরও বেশি হাদিস। ইসলামি বই, অডিও হাদিস সহ,
বিভিন্ন ইসলামি স্কলারদের প্রশ্ন-উত্তর পর্ব। এখান থেকে যে কোন হাদিস কপি করা যায় যা ব্লগ বা প্রবন্ধে রেফারেন্স হিসাবে ব্যবহার করা যাবে।
সফটওয়্যারটি সম্পূর্ন ১০০% ফ্রি। ডাউনলোড এবং শেয়ার করুন সাদকায়ে জারিয়া হাসিল করুন।
#কি_ভাবে_এই_সফটওয়্যারটি ডাউনলোড, ইনষ্ট্রল এবং ব্যাবহার করবেন তা জানার জন্য এই ভিডিএটি দেখুন।


https://www.youtube.com/watch?v=_5PB2Ynm6Oo

সফটওয়্যারটিতে রয়েছে-
১। হাদীসে কুদসী (الحديث القدسي)- ডাটাবেজের কাজ সম্পন্ন হয়েছে- (হাদীস-১৬৩টি)
২। সহিহ বুখারী (صحيح البخاري) – ডাটাবেজের কাজ সম্পন্ন হয়েছে- (হাদীস-৭৫৬৩ টি)
৩। সহিহ মুসলিম (صحيح مسلم) -ডাটাবেজের কাজ সম্পন্ন হয়েছে- (হাদীস-৭২৫৩টি)
৪। সুনান আবু দাউদ (سنن أبي داود) – ডাটাবেজের কাজ সম্পন্ন হয়েছে- (হাদীস-৫২৭৪টি)
৫। জামে তিরমিজী (جامع الترمذي) -ডাটাবেজের কাজ সম্পন্ন হয়েছে- (হাদীস-৩৯৫৬টি)
৬। ইবনে মাজাহ (سنن ابن ماجه) -ডাটাবেজের কাজ সম্পন্ন হয়েছে- (হাদীস-৪৩৪১টি)
৭। হাদীস সম্ভার -ডাটাবেজের কাজ সম্পন্ন হয়েছে- (হাদীস-৩৯০২টি)
৮। সুনান নাসাঈ (سنن النسائي) -ডাটাবেজের কাজ সম্পন্ন হয়েছে- (হাদীস-৫৭৫৮টি)
৯। মুয়াত্তা মালিক (موطأ مالك) -ডাটাবেজের কাজ সম্পন্ন হয়েছে- (হাদীস-১৮৮৪ টি)
১০। মুসনাদে আহমদ (مسند أحمد)-ডাটাবেজের কাজ সম্পন্ন হয়েছে- (হাদীস-২৫৯৯টি)
১১। মিশকাতে যয়িফ ও জাল -ডাটাবেজের কাজ সম্পন্ন হয়েছে- (হাদীস-১৩৩৩টি)
১২। মিশকাতুল মাসাবিহ (مشكاة المصابيح) -ডাটাবেজের কাজ সম্পন্ন হয়েছে- (হাদীস-৪১৬৩টি)
১৩। আদাবুল মুফরাদ (الأدب المفرد) -ডাটাবেজের কাজ সম্পন্ন হয়েছে- (হাদীস-১৩২২টি)
১৪। সিলসিলাতু যয়িফাহ (سلسلة الضعيفة) -ডাটাবেজের কাজ সম্পন্ন হয়েছে- (হাদীস-২০০০টি)
১৫। সিলসিলা সাহীহাহ (سلسلة الصحيحة) -ডাটাবেজের কাজ সম্পন্ন হয়েছে- (হাদীস-১০০০টি)
১৬। রিয়াযুস স্বলেহীন (رياض الصالحين) -ডাটাবেজের কাজ সম্পন্ন হয়েছে- (হাদীস-১৯০৫টি)
১৭। বুলূগুল মারাম (بلوغ المرام) -ডাটাবেজের কাজ সম্পন্ন হয়েছে- (হাদীস-১৫৬৮টি)
১৮। হিসনুল মুসলিম (هيسنول مسلم) -ডাটাবেজের কাজ সম্পন্ন হয়েছে- (হাদীস-২৬৭টি)
১৯। লূ-লূ ওয়াল মারজান (اللؤلؤ والمرجان) -ডাটাবেজের কাজ সম্পন্ন হয়েছে- (হাদীস-১৯০৫টি)
২০। ৪০ হাদীস (الأربعون النووية) -ডাটাবেজের কাজ সম্পন্ন হয়েছে- (হাদীস-৪২টি)
২১। যুযউল কিরআত (جزء القراءة ) -ডাটাবেজের কাজ সম্পন্ন হয়েছে- (হাদীস-৩০০টি)
২২। শামায়েলে মোহাম্মদীয়া (الشمائل المحمدية) -ডাটাবেজের কাজ সম্পন্ন হয়েছে- (হাদীস-৪১৫টি)
২৩। যুযউ রফউল ইয়াদাঈন (جوجول رافليادين) -ডাটাবেজের কাজ সম্পন্ন হয়েছে- (হাদীস-১১৮টি)
২৪। সুনান আদ-দারবকুতনি- (হাদীস-১৫৪৪টি)
২৫। আত-তারগীব ওয়াততারহীব- (হাদীস-২০০টি)

#কি_ভাবে_এই_সফটওয়্যারটি ডাউনলোড, ইনষ্ট্রল এবং ব্যাবহার করবেন তা জানার জন্য Uporer ভিডিওটি দেখুন।

ডাউনলোড ওয়েবসাইট-
www.hadithsoftware.net

----Screenshot-------










--------SUPPORT-------
* WE SUPPORT 24/7 FREE IF you face installation problem just install TEAM VIEWER and contact us and give us your team viewer we will try our best inshallah

Support Url: https://hadithsoftware.net/?page_id=121

Support Email: rub_sanjida@yahoo.com

-Support Phone-

- 01870268226-sharear azam
- 01816671264- sarawer jalal
- 01710446112- Sayeduzzaman
- 01739914929 - Sujon Forazi

* Website:- www.hadithsoftware.net
* FB/DBHT1

-----Donation to us---------- 

01870268226-Nagad
---Bank---
Shahrear Azam, A / C-No.: 300812100018192,
Chwakbazar br. Shahjalal Islami Bank, Chittagong, Bangladesh

--------------------------------



hadith software
HADITH SOFTWARE
Assalamualaikum, Alhamdulillah. All praise is due to Allah who has given the Tawfiq to DBHT (Digital Bangla Hadith Team) to present this software at your service in the first three languages of the world (Arabic, Bengali and English). Many expatriates including Bangladesh have helped us in this work. Since our first version came out, it is normal to have errors. Hopefully, we will be able to inform you about the new BIG updated version in a few months inshallah. Respected brothers and sisters from different parts of the country are working tirelessly for the creation of software and most of them are students. Our aim is to create completely free Bengali Hadith Unicode software for 26 crore Bengali speakers and Unicode software in Arabic and English for 650 crore people which we know is the first in the world. 
----System requirement---- Support all type of windows xp3,windows 7,8,10. You will get more speed the higher RAM and processor you have. * Google Chrome MUST be install in C drive.

----Download------- 
We recommend you to download latest version from our website- www.hadithsoftware.net
Windows 64 Bit User-

---Software Specialty---
1) More then 70 thousand hadith
2) Consist 3 language Arabic, English and Bengali
3) Powerful sear option can search in 3 language from any hadith book or entire hadith collection
4) Unicode text just copy and share in any website or social platform and may more
5) Bangla AUDIO HADITH Sahih Bukhari till 724 hadith.
------SCREENSHOT----------- hadith software 1hadith software 2hadith software 3

 -----

Hadith books in this software----------
1. Hadith Qudsi (الحديث القدسي) -(Hadith - 173)
2. Sahih Bukhari (Sahih Al-Bukhari) -(Hadith-6563)
3. Sahih Muslim (Sahih Muslim) -(Hadith - 8253)
4. Sunan Abu Dawood (سنن أبي داود) -(Hadith - 5264)
5. Jame Tirmidhi (Jami 'al-Tirmidhi) -(Hadith - 3957)
6. Ibn Majah (سنن ابن ماجه) -(Hadith - 4341)

7. Hadith Collection - Database work completed - (Hadith - 3902)
8. Sunan Nasai (سنن النسائي) -Database work has been completed- (Hadith-5858)
9. Muwatta Malik (موطأ مالك) -(Hadith - 174)
10. Musnad Ahmad (مسند أحمد) -(Hadith - 2599)
11. Zayef and forgery in Mishkat -(Hadith - 1333)
12. Mishkatul Masabih (مشكاة المصابيح) -Database work has been completed- (Hadith-4173)
13. Adabul Mufrad (الأدب المفرد) -Database work has been completed- (Hadith-1322)
14. Silsilatu Zayefah (Silsilat al-Da'eefah) -(Hadith - 2000)
15. Silsila Sahihah (Silsila Sahihah) -(Hadith - 1000)
16. Riyaz Swalehin (Riyadh Al-Saliheen) -(Hadith-1905)
17. Bulugul Maram (بلوغ المرام) -(Hadith - 156)
18. Hisnul Muslim (هيسنول مسلم) -(Hadith - 26)
19. Lu-Lu wal Marjan (اللؤلؤ والمرجان) -Database work has been completed- (Hadith-1905)
20. 40 Hadiths (الأربعون النووية) -Database work has been completed- (Hadiths-42)
21. Juzul Qiraat (جزء القراءة) - Database work has been completed
22. Muhammadiyah (الشمائل المحمدية) -(Hadith - 415)
23. Juju Raful Yadain (جوجول رافليادين) -(Hadith - 116)
24. Sunan Ad-Darakutni :: Total Hadith - 1544 (Incomplete)
25. Targib wat tahrib :: Total Hadith - 200 (incomplete)


--------SUPPORT-------
* WE SUPPORT 24/7 FREE IF you face installation problem just install TEAM VIEWER and contact us and give us your team viewer we will try our best inshallah
Support Url: https://hadithsoftware.net/?page_id=121
Support Email: rub_sanjida@yahoo.com
-Support Phone-
- 01870268226-sharear azam
- 01816671264- sarawer jalal
- 01710446112- Sayeduzzaman
- 01739914929 - Sujon Forazi
* Website:- www.hadithsoftware.net
* FB/DBHT1
-------Donate us------------
01870268226-Nagad
Bank Account
Shahrear Azam, A/C No : 300812100018192, Shahjalal Islami Bank Chwakbazar Branch, Chittagong, Bangladesh.

Saturday, May 11, 2013

কুর’আনে প্রযুক্তি [পর্ব- ৩০ ]- লোহার উৎপত্তিস্থল কোথায়?

কুরআনে প্রযুক্তি [পর্ব- ৩০ ]- লোহার উৎপত্তিস্থল কোথায়? 
আসসালামুআলাইকুম ও শুভেচ্ছা সবাইকে :) ।সবাই ভাল আছেন আল্লাহর রহমতে আশা করি। অনেকদিন ধরে ”কুরআনে প্রযুক্তি” চেইন টিউনটি বন্ধ রেখেছিলাম “হাদিস সফটওয়্যার তৈরির জন্য”। প্রতি পোষ্টে আপনাদের অনেক উৎসাহব্যঞ্জক ফোন পেয়েছি বহু অনুরোধ উপেক্ষা করতে না পারায় আবারোও শুরু করলাম শত ব্যস্ততার মাঝে। আমাদের জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে লোহার ব্যবহার ও অবদান অনস্বীকারর‌্য। জীবনের শুরু হতে কবরে যাবার আগ পর‌্যন্ত এ প্রযুক্তির যুগে আমাদের প্রতিটি ব্যবহার‌্য বস্তুতে লোহা নাম বস্তুটি জড়িয়ে আছে। কিন্তু প্রশ্ন হলো এত লোহা আসে কোত্থেকে? আমাদের মধ্যে অনেকেই জানিনা প্রকৃতপক্ষে লোহার উৎপত্তিস্থল কোথায়? আসুন দেখি আল্লাহ রাব্বুল আলামিন আল-কুরআনে আমাদের এ সম্পর্কে কি বলেছেন-  

আল- কুরআনেকি বলা হয়েছে? পবিত্র কুরআনে লৌহ ধাতুকে বিশেষ গুরত্বের সঙ্গে উল্লেখ করা হয়েছে। সূরা হাদীদে লৌহ সম্পর্কে আমরা যা অবগত হই তা নিম্নরূপঃ আর আমি প্রেরণ করেছি লৌহ, যাতে রয়েছে প্রচন্ড শক্তি এবং মানুষের জন্য আরো বহুবিধ উপকার। (কোরআন, ৫৭: ২৫) (অনুবাদ:- মাওলানামুহিউদ্দীন, উম্মুলকোরা, সৌদিআরব) 057.025 لَقَدْ أَرْسَلْنَا رُسُلَنَا بِالْبَيِّنَاتِ وَأَنْزَلْنَا مَعَهُمُ الْكِتَابَ وَالْمِيزَانَ لِيَقُومَ النَّاسُ بِالْقِسْطِ وَأَنْزَلْنَا الْحَدِيدَ فِيهِ بَأْسٌ شَدِيدٌ وَمَنَافِعُ لِلنَّاسِ وَلِيَعْلَمَ اللَّهُ مَنْ يَنْصُرُهُ وَرُسُلَهُ بِالْغَيْبِ إِنَّ اللَّهَ قَوِيٌّ عَزِيزٌ 057.025 We sent aforetime our messengers with Clear Signs and sent down with them the Book and the Balance (of Right and Wrong), that men may stand forth in justice; and We sent down Iron, in which is (material for) mighty war, as well as many benefits for mankind, that Allah may test who it is that will help, Unseen, Him and His messengers: For Allah is Full of Strength, Exalted in Might (and able to enforce His Will). Al-Qur'an, 057.025 (Al-Hadid [The Iron]) 
  আয়াতের বিশ্লেষন:- আল-কুরআনের ৫৭ নং সুরাটির নাম হাদিদ যার বাংলা অর্থ লোহা, আয়াতটিতে লৌহ সম্পর্কে নাযিল হয়েছে ও বিজ্ঞানের নিগূঢ় তথ্য লূক্কায়িত আছে।। লক্ষণীয় বিষয় যে, কুরআন মাজিদ পৃথিবীতে লোহার অবতরণ বুঝাতে ‘আনযালা’ (ل ﻥ) শব্দটি ব্যবহার করেছে ‘‘প্রেরণ করেছি’’ শব্দটি বিশেষভাবে ব্যবহৃত হয়েছে। লৌহকে মানুষের উপকারের জন্য দেয়া হয়েছে - উপমাগতভাবে এ অর্থেও শব্দটি ব্যবহৃত হতে পারে। কিন্তু শব্দটির আক্ষরিক অর্থ যখন আমরা বিবেচনায় আনি, যার অর্থ হলো ’’লৌহকে বাস্তবিকই সশরীরে আকাশ থেকে নিম্নে পাঠানো হয়েছে’’- তখন আমরা হৃদয়ংগম বা উপলব্ধি করতে পারি আয়াতটি‪‪‪‪‪‪‪‪‪‪‪‪‪‪‪‪‪‪‪‪‪‪‪‪‪‪‪‪‪‪‪‪‪‪‪‪‪‪‪‪‪‪‪‪‪‪‪‪‪‪‪‪‪‪‪‪‪‪‪‪‪ , কেননা আধুনিক জ্যোতির্বিদ্যায় প্রাপ্ত তথ্যসমূহ উদঘাটন করেছে যে, আমাদের পৃথিবীতে প্রাপ্ত লৌহ মহাশূণ্যের বিশাল বিশাল নক্ষত্রসমূহের ধ্বংসের ফলে টুকরো টুকরো হয়ে পৃথিবীতে এসেছে এবং আসছে। মহাবিশ্বে বড় বড় নক্ষত্রের কেন্দ্রে ভারী ধাতুগুলো উৎপন্ন হয়ে থাকে। মনে রাখতে হবে যে আমাদের ক্ষুদ্র সৌর জগতের নক্ষত্রগুলোর নিজেদের লৌহ উৎপন্ন করার মতো যথাযোগ্য গঠন নেই।
 বৈজ্ঞানিক বিশ্লেষন:- আমাদের সূরেযর উপরস্থিত তাপমাত্রা হলো ৬০০০ ডিগ্রী সেলসিয়াস
বা প্রায় ১১০০০ ডিগ্রী ফারহানেট। অভ্যন্তর কোর (Inner core) ২ কোটি সেলসিয়াস বা ৩.৫০ কোটি ডিগ্রী ফারহানেট। লৌহ একমাত্র উৎপন্ন হতে পারে আমাদের সূর্যের চেয়েও বড় বড় নক্ষত্র যেখানে তাপমাত্রা কয়েক বিলিয়ন (৩০০ কোটি) ডিগ্রীতে পৌঁছে, অর্থাৎ এ হতে প্রতিয়মান হয় লৌহ উৎপন্ন করার মত যোগ্যতা আমাদের সৌরজগতের নেই। Astro Physics scientist গন এখন স্বীকার করেন ও তাঁদের প্রাপ্ত গবেষনায় আমরা জানতে পারি যে, আমাদের সৌর জগতের পুরো শক্তি এক পরমাণু লোহা উৎপাদনের জন্যও যথেষ্ট নয়। অধিকন্তু তারা বলেন, পৃথিবীর উপরিভাগে এক পরমাণু পরিমাণ লোহা উৎপাদন করার জন্যে আমাদের সৌর জগতের চারশতগুণ অতিরিক্ত শক্তির প্রয়োজন হবে। একটি নক্ষত্রে যখন লৌহের পরিমাণ নির্দিষ্ট সীমার চেয়ে ছাড়িয়ে যায়, তখন নক্ষত্রটি সে পরিমাণ শক্তি ও উত্তাপ আর ধারণ করে রাখতে পারে না। অবশেষে তা বিস্ফোরিত হয় এমনভাবে যাকে বলা হয় Nova নোভা বা সুপার নোভা। এই বিস্ফোরণের ফলে লৌহ বহনকারী উল্কাগুলো বিশ্বব্রহ্মান্ডে ছড়িয়ে ছিটিয়ে যায় এবং তারা ততক্ষণ পর্যন্ত শূণ্যে চলাফেরা করে যতক্ষন পর্যন্ত মহাশূণ্যজাত পদার্থগুলোর মাধ্যাকর্ষনজনিত বল দ্বারা (বিভিন্ন গ্রহ, উপগ্রহ, উল্কা, ছড়িয়ে –ছিটিয়ে থাকা এন্ড্রোমিডা, ব্যাল্ক হোল) আকৃষ্ট না হয়। এভাবে scientist গন এই উপসংহারে পৌঁছে যে, লোহা একটি অতি জাগতিক বস্ত্ত, যা পৃথিবীতে এসেছে অন্য কোনো গ্রহ থেকে। Kazi, 130 Evident Miracles in the Qur'an, 110-111; and www.wamy.co.uk/announcements3.html, from Prof. Zighloul Raghib El-Naggar's speech.  
বিশেষজ্ঞগনের মতামত কি- এ সম্পর্কে "The Galactic Environment of the Sun," সম্পাদনায় একটি গুরুত্বপূর্ন তথ্য দেয়া হয়েছে- There is also evidence for older supernova events: Enhanced levels of iron-60 in deep-sea sediments have been interpreted as indications that a supernova explosion occurred within 90 light-years of the sun about 5 million years ago. Iron-60 is a radioactive isotope of iron, formed in supernova explosions, which decays with a half life of 1.5 million years. An enhanced presence of this isotope in a geologic layer indicates the recent nucleosynthesis of elements nearby in space and their subsequent transport to the earth (perhaps as part of dust grains). Priscilla Frisch, "The Galactic Environment of the Sun," American Scientist, January-February 2000; www.americanscientist.org/template/AssetDetail/assetid/21173?fulltext=true বিখ্যাত মাইক্রো-
বায়োলজিষ্ট Michael Denton তারঁ নেচার ডেসটিনি গ্রন্থে লৌহ সম্পর্কে জোর দিতে গিয়ে বলেছেন যা হুবহু তুলে ধরা হলো- Of all the metals there is none more essential to life than iron. It is the accumulation of iron in the center of a star which triggers a supernova explosion and the subsequent scattering of the vital atoms of life throughout the cosmos. It was the drawing by gravity of iron atoms to the center of the primeval earth that generated the heat which caused the initial chemical differentiation of the earth, the outgassing of the early atmosphere, and ultimately the formation of the hydrosphere. It is molten iron in the center of the earth which, acting like a gigantic dynamo, generates the earth's magnetic field, which in turn creates the Van Allen radiation belts that shield the earth's surface from destructive high-energy-penetrating cosmic radiation and preserve the crucial ozone layer from cosmic ray destruction... Ibid  

লৌহের অবদান কতখানি আমদের জীবন মহাবিশ্বে:- Chemical Education নামক আমেরিকান এক সাময়িকীতে ১৯৯০ সালের সেপ্টেম্বর সংখ্যায় এবং New Scientists -এর ১৩ জানুয়ারি ১৯৯০ সংখ্যায় বলা হয়েছে : লোহার পরমাণু কণিকাসমূহ সাধ্যাতীত দৃঢ়ভাবে ঘনীভূত। লোহা হল সর্বাধিক ভারী পদার্থ যা মানসম্মত পারমাণবিক প্রজ্জ্বলনের মাধ্যমে একটি নক্ষত্রে তৈরি হয়েছে। এতে রয়েছে সর্বাধিক সুদৃঢ় নিউক্লিয়াস। লোহাকে সংশ্লেষণ করার জন্য যে শক্তির প্রয়োজন তা পৃথিবীতে সুলভ নয়। তাই, পৃথিবীতে যে লোহা পাওয়া যায় নিঃসন্দেহে তা বাইরের মহাকাশে সংশ্লেষিত। লৌহ এটম ব্যতীত আমাদের এ পৃথিবীতে কার্বন নির্ভর প্রানের অস্তিত্ব কল্পনা করা যায় না, কোন সুপার নোভা , পৃথিবীব্যাপী উত্তাপ, কোন বায়ুমন্ডল, কোন পানির স্তর কল্পনা করা অবাস্তব। লৌহ ব্যতীত পৃথিবীর ম্যাগনেটিক ফিল্ড, ভ্যান এলেন রেডিয়েশন বেল্ট, ওজোন স্তর, কোন ধাতুর অস্তিত্ব আমাদের শরীরে (উলেখ্য যে আমাদের দেহে রক্তের একটি উপাদান হিমোগ্লোবিন যার কার্য পদ্বতি ও অস্তিত্ব লৌহ ব্যতীত অসম্ভব। লোহার অস্তিত্ব আমাদের শরীরে অতি গুরুত্বপূর্ন আমাদের হাড় ও দৈহিক গঠনের অন্যতম একটি উপাদান এ লৌহ। একটি মানব দেহের সমস্ত লৌহকে একত্রিত করলে একটি প্রমান সাইজের মার্বেলের সমান হবে।) "Highlights;" www.inm-gmbh.de/cgi-bin/frame/frameloader.pl?sprache=en&url=http://www.inm-gmbh.de/htdocs/technologien/highlights/highlights_en.htm    
একটি সুন্দর উক্তি:- Michael Denton তারঁ “নেচার ডেসটিনি” গ্রন্থে বলেছেন- ”জীবন ও লৌহের মধ্যে অবিচ্ছেদ্য ও নিবিড় সম্পর্ক হলো- রক্তের লৌহ কনিকা হতে বহুদুরের গ্যালাক্সীর ধ্বংসম্মোক্ত একটি তারকার, শুধু জীববিদ্যার ধাতুগত সম্পর্কই গুরুত্বপূর্ন ইঙ্গিত বহন করেনা আমাদের শৃঙ্খলাবদ্ধ মহাবিশ্বের প্রানের অস্তিত্বের প্রশ্নে একটি অতীব প্রয়োজনীয় আলোচ্য বিষয়। ”Michael J. Denton, Nature's Destiny (The Free Press: 1998), 198.   


আল-হাদিদের গানিতিক কোড উপরোক্ত বিবরন নিঃসন্দেহে লোহার এটমিক প্রয়োজনীয়তা কিছুটা হলেও বুঝতে সহায়তা করে। প্রকৃত অর্থে আল-কুরআন এর উপাদানের উপর বিশিষ গুরুত্ব আরোপ করেছে। উপরন্তু আরেকটি লুক্কায়িত সত্য হলো সুরা হাদিদের ২৫ নং আয়াতে আমাদের মনোযোগ আর্কষন করেছে যা দুটি গানিতিক কোডের দিকনির্দেশনা প্রদান করে আল-হাদিদ কুরআনের ৫৭ নং সুরা। আরবী প্রত্যেকটি শব্দের সংখ্যাবিষয়ক (gematrical) মূল্য রয়েছে অন্যার্থে আরবীর প্রত্যেকটি বাক্য একেকটি সংখ্যার উপর দাড়িয়ে আছে যাকে আবজাদ বা হিসাব আল-জুমাল বলা হয়ে থাকে। Ismail Yakit, Turk-Islam Kulturunde Ebced Hesabi ve Tarih Dusurme (Abjad Calculation and Date Deduction in Turkish-Islamic Culture), 36. মুসলিমগন যারাঁ এ বাস্তব-সংখ্যা ব্যবহার করে থাকেন তার মধ্যে ইলম-আল-জাফর অন্যতম। Ibid., 56.এর বিস্তারিত বিবরনে আমি যাবোনা। সুরা আল হাদিদের সঙখ্যা-মূল্য যোগ করলে আমরা পাই -৫৭
সংখ্যার একত্বে “হাদীদ” হলো ২৬ যা লৌহের এটমিক নাম্বারের দিকে ইঙ্গিত করে।  
ক্যান্সার নির্মূল ঔষধ- সাম্প্রতিক সময়ে লৌহ কনিকা ক্যান্সার উপশমে সন্দেহাতীতরুপে আশার আলো দেখিয়েছে। Dr. Andreas Jordan (যিনি জার্মানির একটি বিখ্যাত চ্যারিটেবল
হসপিটাল চালান) এর টিম ম্যাগনেটিক ফ্লুয়িড হাইপোথারমিয়া যা উচ্চ উত্তাপ জনিত ম্যাগনেটিক তরল তৈরি করে ক্যান্সার সেল ধ্বংস করে। ২৬ বৎসর বয়স্ক Nikolaus H এর উপর পরীক্ষা চালিয়ে নিম্নলিখিত ফলাফল পাওয়া গেছে- 
১. আয়রন অক্সাইডবাহী লৌহ কনিকা বিশেষ সিরিঞ্জের মাধ্যমে ইনফেক্টেট স্থানে প্রবিষ্ট করানো হয়। এ কনাগুলো ব্যাধিত সেলে ছড়িয়ে পড়ে। লক্ষ লক্ষ লৌহ-কনা (আয়রন অক্সাইড) যা রক্তের শ্বেত-কনিকা হতে ১০০০ গুন ক্ষুদ্র (1 cm3) যা রক্তের সাথে মিশে যায়। 
২. এরপর রোগীকে একটি মেশিনে আনা হয় যার রয়েছে শক্তিশালী চুম্বকীয় ক্ষেত্র এ চুম্বকীয় ক্ষেত্রটি দেহা-আভ্যন্তরীন চালু করা হয়। এ সময় দেহের ভেতরের লৌহ-কনা (আয়রন অক্সাইড) ৪৫ ডিগ্রী বা ১১৩ ডিগ্রী ফারেনহাইটে পৌছেঁ যায়। 
৩. কয়েক মিনিটের মধ্যে ক্যান্মার সেল নিজেদের এ উত্তাপে প্রতিরোধ করতে অক্ষম হয়ে পড়ে ও ক্যান্সার ধ্বংস হয়ে যায় বা দূর্বল হয়ে পড়ে। 
৪. এভাবে ক্যান্সার ব্যাধিকে ধারাবাহিক কেমোথেরাপির মাধ্যমে নির্মূল করা সম্ভব। 
আয়রন অক্সাইডবাহী লৌহ কনিকা শুধু যে ক্যান্মার প্রতিরোধে ব্যবহ্রত হচ্ছে তা নয় বিভিন্ন মারাত্নক রোগ যার উপশম এখনো পুরোপুরি আবিষ্কার করা সম্ভব হয়নি তা আয়রন অক্সাইড ব্যবহার করে অপ্রত্যাশিত ফলাফল পাওয়া গেছে। এজন্য আল্লাহপাক রাব্বুল আলামিন বলেছেন- আর আমি প্রেরণ করেছি লৌহ, যাতে রয়েছে প্রচন্ড শক্তি এবং মানুষের জন্য আরো বহুবিধ উপকার। (কোরআন, ৫৭: ২৫) (অনুবাদ:- মাওলানামুহিউদ্দীন, উম্মুলকোরা, সৌদিআরব) প্রকৃতপক্ষে অন্য সৌর-জগত বা হাজার কোটি মাইল দুর হতে আসা লৌহকে আল্লাহ পাঠিয়েছেন এবং তিনি বলেছেন-” মানুষের জন্য আরো বহুবিধ উপকার।”  
পরিশেষে- পূর্বেকার ভাষ্যকারদের কাছে ছিল কুরআন মাজিদের এক রহস্য। জ্ঞান-বিজ্ঞানের
সাম্প্রতিক উৎকর্ষতা কুরআন মাজিদের এই রহস্যকে বিজ্ঞানের একটি বাস্তব সত্যে রূপান্তরিত করেছে। আল্লাহ তাআলা ব্যতীত আর কার এমন সুনিশ্চিত জ্ঞান থাকতে পারে, যা মানব জ্ঞানের সকল স্তরকে অতিক্রম করে ও ছাপিয়ে যায়।এ সবকিছু এটাই প্রমাণ করে যে, লৌহপৃথিবীতে উৎপন্ন হয়নি বরং তা মহাশূণ্যের বিস্ফোরিত নক্ষত্রগুলো হতে উল্কা দিয়ে বহন করে নিয়ে আসা হয়েছে পৃথিবীতে এবং ’’আমরা প্রেরণ করেছি লৌহ’’-আয়াতটিতে যেমন বলা হয়েছে ঠিক তেমনি ভাবেই লৌহকে পাঠানো হয়েছে। এটা স্পষ্ট যে, সপ্তম শতাব্দীতে কোরআন যখন নাযিল হয় তখনকার সময় এ বিষয়টি বিজ্ঞান দিয়ে প্রমাণ করা যায়নি।(আল্লাহতাআলা সবচেয়ে বেশি অবগতও মহাজ্ঞানী) -------------------    
একটি ঘোষনা- DBHT-(ডিজিটাল বাংলা হাদিস টিম)-এরবুখারী মুসলিম ও রিয়াযুস স্ব-লিহীনের বাংলা+আরবী + ইংলিশ হাদীসের সফটওয়্যার পাওয়া যাচ্ছে- http://islamk-janun.blogspot.com/ http://muslim.zohosites.com/ http://www.quranic-science.blogspot.com/ http://muslim-teacher.blogspot.com/ http://alquranobiggan.blogspot.com www.facebook.com/pages/Al-Quran-Modern-Science/140069416050931  
 একটি উদ্যেগ আহবান: এটা অত্যন্ত দুঃখের বিষয় যে বাংলাদেশের ৯০% মুসলিম হয়েও


এখনো বাংলা সহিহ হাদিসের Free digital software বানানো হয়নি। প্রায় ২৮ কোটি বাংঙ্গালীগন অকাযর্করের ও অবহেলার ভূমিকা নিয়েছি, এ মহান দায়িত্ব থেকে আমরা মুসলিমগন একরকম নেহাতই পালিয়ে বেড়াচ্ছি। অনেকেই আছেন অন বা “অফ লাইনে কাজ করার সময় UNICODE টেক্সট হাদিস হাতের কাছে তৈরি না থাকায় সবাইকে কষ্ট করে টাইপ করতে হয় অথবা অনেকে ঝামেলা এড়িয়ে যান। কিন্তু এই দিন শেষ । আসুননা আমরা সমম্বিতভাবে উদ্বেগ নিয়ে বাংলা সহিহ হাদিসের Unicode Software সৃষ্টি করি। আপনারা শুনে ‍খুশি হবেন আমাদের সহিহ বুখারী , মুসলিম শরীফ ও রিয়াদুস স্বালেহিনের কাজ শেষ । সফটওয়্যারটি chm ফরমেটে তৈরি হচ্ছে, ইনষ্টলের কোন ঝামেলা নেই। 1 click – এ ‍উইন্ডো ওপেন হবে এবং সহজেই ডাটা কপি,পেষ্ট করা যাবে, এছাড়াও রয়েছে পাওয়ারফূল সার্চ ও কিওয়ার্ড অপশন। যেহেতু হাজার হাজার হাদিস এর জন্য অবশ্যই টিম ওর্কের প্রয়োজন যার নামকরন করা হয়েছে সংক্ষেপে DBHT-(ডিজিটাল বাংলা হাদিস টিম)। দেশের বিভিন্ন প্রান্তের সম্মানিত ভায়েরা/ বোনেরা বিনা পারিশ্রমিকে অক্লান্ত পরিশ্রম করে অতি দ্রুততার সাথে এগিয়ে যাচ্ছেন যার বেশিরভাই ছাত্র। উদ্দেশ্য একটাই-২৮ কোটি বাংলাভাষীর জন্য ও ৭৫০ কোটি মানুষের জন্য সম্পূর্ন বিনামূল্যে হাদিসের অনবদ্য একটি ইউনিকোড সফটওয়্যার তৈরি করা। আপনি এ মহৎ কাজে পিছিয়ে কেন ...আসুন আমাদের সাথে। সম্মানিত ভাই/ বোন যারা সদস্য হতে চান এ টিমের কর্মপদ্বতি হবে নিম্নরুপ- 1)যারা অংশ নেবেন Contribution- এ তাদের নাম ও প্রোফাইল লিংক থাকবে। 2) প্রত্যেককে সদস্য হতে হলে কমপক্ষে 100 হাদিসের ডাটা এন্ট্রি করে নিম্নলিখিত এড্রেসে পাঠিয়ে দিতে হবে। 3)আপনাকে পিডিএফ ফরম্যাটে হাদিস দেয়া হবে আপনি MS Word-এ (বিজয়, UNICODE, অভ্র যেটাতে খুশি ) টাইপ করে মেইলে এটাচ করে পাঠিয়ে দেবেন, আপনার প্রোফাইল লিংক যদি দেন ভাল হয়। 4) আপনার হাদিস পাবার পর সেটা আপডেট করে ফেসবুকে লিংক দেয়া হবে যেখান থেকে আপনি ডাউনলোড করে কাজের অগ্রগতি দেখতে পাবেন। বিঃদ্রঃ:- এটি কোন কর্মাশিয়াল উদ্যেগ নয়। শধুমাত্র ভলান্টিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে DBHT-এর হাদিসের Digital interface তৈরি করার একটা যৌথ প্রচেষ্টা। বাংলাতে শুধু এন্ট্রি করবেন আরবী ও ইংলিশ আমরা ম্যানেজ করবো ইনশাআল্লাহ। মেইল এড্রেস ও Mob-নং ও বাংলাদেশের কোত্থেকে কাজ করছেন উল্লেখ করবেন। ১০ দিনের মধ্যে করতে পারলে ভালো হয়। আপনি ডাটা পাঠানোর পর আমরা সেটা অতি দ্রুত আপডেট করে ইয়াহু গ্রুপে আপনাকে এড করে আপডেট লিংক দেবো ইনশাআল্লাহ ধন্যবাদ। যোগাযোগ করুন।   শাহরিয়ার আজম মেইল এড্রেস- rub_sanjida@yahoo.com Mob-01714351057 DBHT-(ডিজিটাল বাংলা হাদিস টিম) 
 http://www.facebook.com/pages/DBHT/603417713008497 
 **আলহামদুলিল্লাহ আমরা তিনটি ভাষায় হাদিস সফটওয়্যার প্রকাশ করছি (আরবী, বাংলা ও ইংলিশ) যা এখনো পৃথিবীতে সর্বপ্রথম। বিভিন্ন কলেজ ও ইউনিভার্সিটির জন্য অত্যান্ত কার্যকরী একটা সফটওয়্যার হবে। একসময় পৃথীবিতে আমরা থাকবোনা কিন্ত এ সফটওয়্যার ব্যবহার করে কোটি কোটি মানুষ সহজে ইসলাম সম্পর্কে তথ্য জানতে পারবে গবেষনার কাজে ব্যবহার করতে পারবে। অমুসলিমগন জানতে পারবেন ইসলাম ও রাসুল (সাঃ) জীবনী সম্পর্কে। রাসুল (সাঃ)-কে যারা ব্যঙ্গ করছে বেশিরভাগই ইসলাম সম্পর্কে অজ্ঞতার কারনেই করছে। এ সফটওয়্যার তাদের মনের ইসলাম সম্পর্কে অশিক্ষার অন্ধকার দুরীভূত করবে বলে আশা রাখি।কতো অযথা বাজে কাজ করে বা কম্পিউটার গেম খেলে আমরা সময় নষ্ট করি, না হয় এখানে কয়েক ঘন্টা সময় নষ্ট করলেন, এসুযোগ হয়তো জীবনে আর নাও পেতে পারেন, আমরা চাই আপনারও এতে অবদান থাকুক অন্তত ১০০ হাদিস টাইপ করে এ ঐতিহাসিক কর্মে অংশীদার হয়ে যান।    

Sunday, March 24, 2013

আল্লাহর দিকে রাসূলুল্লাহ্‌ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর দাওয়াতের বাস্তব কিছু নমুনা-২


দ্বিতীয় অধ্যায়
হিজরতের পর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসল্লাম এর কার্যক্রমের বিবরণ
প্রথম পরিচ্ছেদ

উম্মতের সংশোধন করা ও তাদের মানুষরুপে গড়ে তোলার বিষয়ে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসল্লাম হিকমত ও বুদ্ধি ভিত্তিক অবস্থান:
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসল্লাম মদিনায় পৌঁছে দেখেন যে, মদিনার অধিবাসীরা বিভিন্ন গোত্রে বিভক্ত এবং তারা নানাবিধ বিপরীতমুখী বিশ্বাসে জরজরিত। তারা তাদের লক্ষ্য উদ্দেশ্যে সম্পূর্ণ বিপরীতমুখী, তাদের চিন্তা চেতনায় একে অপরের সাথে কোন প্রকার মিল নেই। তাদের মধ্যে নতুন ও পুরাতন বিভিন্ন ধরনের মতানৈক্য ও মতপার্থক্যের কোন অভাব ছিল না। কিছু পার্থক্য ছিল এমন যেগুলো তারা নিজেরা আবিষ্কার করে, আর কিছু ছিল যে গুলো তারা তাদের পূর্বসূরিদের থেকে মিরাসি সূত্রে পায়মদিনার এ দ্বিধা বিভক্ত লোকগুলোকে ইতিহাসের আলোকে তিন শ্রেণীতে ভাগ করা যায়।
এক. আওস, খাযরাজ ও মুহাজির মুসলিম।
দুই. আওস ও খাযরাজের মুশরিকরা; যারা ইসলামে প্রবেশ করেনি।
তিন. ইয়াহুদি সম্প্রদায়। তারাও আবার একাধিক গোত্রে বিভক্ত ছিল। যেমন, বনী কাইনুকা; যারা ছিল খাজরায গোত্রের সহযোগী। বনী নাজির ও বনী ক্বুরাইজা; এ দুটি গোত্র আওস গোত্রের লোকদের সহযোগী ছিল
এখানে একটি কথা মনে রাখতে হবে, আওস ও খাযরাজ গোত্রের মধ্যে দ্বন্ধ ছিল প্রাচীন ও ঐতিহাসিক। জাহিলিয়্যাতের যুগে তারা উভয় গোত্র সব সময় যুদ্ধ বিদ্রোহে লিপ্ত থাকত। যুগ যুগ ধরে তারা সামান্য বিষয়কে কেন্দ্র করে যুদ্ধ চালাতো। তারা এতই খারাপ ছিল, তাদের অন্তরে সব সময় যুদ্ধের দাবানল জ্বলতে থাকত এবং যুদ্ধ করা ছিল তাদের নেশা[1]
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসল্লাম মদিনায় পৌঁছে প্রথমেই তিনি তার স্বীয় বুদ্ধিমত্তা, জ্ঞান ও কৌশল দিয়ে এ সব সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে সে গুলোকে সমাধানের জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করেন। এসব সমস্যা সমাধান, বাস্তব প্রেক্ষাপটকে নিয়ন্ত্রণ করা ও তাদের সবাইকে একটি ফ্লাট ফর্মে দাড় করানোর জন্য তিনি নিম্ন বর্ণিত পদক্ষেপগুলো গ্রহণ করেন।
এক. মসজিদ নির্মাণ করার কাজে সবার অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা।
প্রথমে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসল্লাম যে কাজটি আরম্ভ করেন, তা হল, মসজিদে নববীর নির্মাণ কাজ। তিনি সবাইকে এ কাজে অংশ গ্রহণ করার সুযোগ দেন, যার ফলে সমস্ত মুসলিমরা এ কাজে অংশ গ্রহণ করেন। তাদের নেতৃত্বে থাকেন তাদের ইমাম মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ। এটি ছিল পরস্পর সহযোগিতামূলক ও সম্মিলিতভাবে সম্পাদিত ইসলামের সর্ব প্রথম কাজ। এ কাজের মাধ্যমে সবার মধ্যে ঐক্য ও ভ্রাতৃত্ব তৈরি হয় এবং মুসলিমদের কাজের জন্য সাধারণ লক্ষ্য নির্ধারণ হয়। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসল্লাম মদিনায় আগমনের পূর্বে মদিনার প্রতিটি গোত্রের জন্য একটি নির্ধারিত স্থান ছিল, তাতে তারা একত্র হয়ে গান, বাজনা, কিচ্ছা, কাহিনী, কবিতা পাঠ ইত্যাদির অনুষ্ঠান করত।

Friday, March 22, 2013

আল্লাহর দিকে রাসূলুল্লাহ্‌ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর দাওয়াতের বাস্তব কিছু নমুনা-১



সাঈদ বিন আলী বিন ওহাফ আল-কাহতানী
প্রথম অধ্যায়:
হিজরতের পূর্বে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দাওয়াতি কার্যক্রম
প্রথম অধ্যায়কে কয়েকটি পরিচ্ছেদে ভাগ করা হয়েছে
প্রথম পরিচ্ছেদ:
গোপনে দাওয়াত দেওয়ার সময়ে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর দাওয়াতি কার্যক্রম:
 এ কথা অজানা নয় যে, মক্কা ছিল, আরবদের ধর্ম পালনের প্রাণ কেন্দ্র ও উপযোগী ভূমি। এখানে ছিল আল্লাহর পবিত্র ঘর কাবার অবস্থান। আরবের সমগ্র মূর্তিপূজক ও পৌত্তলিকদের আবাসভূমি ও যাবতীয় কর্মের ঘাটিও ছিল, এ মক্কা নগরী। এ কথা আমাদের সবারই মনে রাখতে হবে, পাহাড় আর মরুভূমিতে ঘেরা পবিত্র এ মক্কা নগরীতে আল্লাহর দিকে মানুষকে দাওয়াত দেয়ার মিশনটিকে তার মনজিলে মকসুদে পৌঁছানো, ততটা সহজ ছিল না। বরং বলতে গেলে এটা ছিল অনেকটাই দুর্বোধ্য ও দু:সাধ্য। একজন সাধারণ মানবের দ্বারা এ অসাধ্য কাজকে সাধ্য করা এবং সফলতায় পৌঁছানো কোন ক্রমেই সম্ভব ছিল না। যদি দাওয়াতের জন্য নির্বাচিত ভূমি মক্কা না হয়ে অন্য কোন ভূমি হত, বা তা মক্কা থেকে অনেক দূরে হত, তাহলে এতটা কষ্টকর হয়তো হত না। এ কারণেই বলা বাহুল্য, এ অনুপযোগী ও অনুর্বর ভূমিতে দাওয়াতি কাজ পরিচালনার জন্য প্রয়োজন ছিল, এমন একজন মহা মানবের, যার দৃঢ়ত, আত্মপ্রত্যয় ও অবিচলতা হবে বিশ্বসেরা; যাতে কোন ধরনের বিপদ-আপদ ও মুসিবত তাকে ও তার দাওয়াতের মিশনটিকে কোন-রকম দুর্বল করতে না পারে। আরও প্রয়োজন ছিল, এমন সব হিকমত ও কৌশল অবলম্বন করা, যেসব বুদ্ধিমত্তা, হিকমত ও কৌশল দিয়ে, সে তার বিরুদ্ধে গৃহীত যাবতীয় ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করতে পারে এবং সব ধরনের বাধা বিঘ্ন দূর করে দাওয়াতের মিশনটিকে সফলতার ধার প্রান্তে পৌছাতে পারে। নি:সন্দেহে বলা যায়, অনুগ্রহ ও দয়া মহান আল্লাহরই যিনি হলেন, আহাকামুল হাকেমীন; তিনি যাকে চান হিকমত দান করেন, যাকে চান না তাকে হিকমত দান করেন না। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
﴿يُؤۡتِي ٱلۡحِكۡمَةَ مَن يَشَآءُۚ وَمَن يُؤۡتَ ٱلۡحِكۡمَةَ فَقَدۡ أُوتِيَ خَيۡرٗا كَثِيرٗاۗ وَمَا يَذَّكَّرُ إِلَّآ أُوْلُواْ ٱلۡأَلۡبَٰبِ [البقرة: 269]
অর্থ, তিনি যাকে চান প্রজ্ঞা দান করেন। আর যাকে প্রজ্ঞা দেয়া হয়, তাকে অনেক কল্যাণ দেয়া হয়। আর বিবেক সম্পন্নগণই উপদেশ গ্রহণ করে[1]
আল্লাহ তাআলা মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে রিসালাতের দায়িত্ব দেয়ার মাধ্যমে হিকমত ও জ্ঞান দান করেছেন, ভালো কাজের তাওফিক দিয়েছেন এবং আল্লাহ তাকে তার যাবতীয় কর্মে সাহায্য করেছেন।
এ কারণে, আল্লাহর পক্ষ হতে যখন তার স্বজাতিদের ইসলামের দাওয়াত দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়, তখন তিনি তাদের দাওয়াত দেয়ার জন্য বিভিন্ন কৌশল ও হিকমত অবলম্বন করেন। তিন প্রথমেই সবাইকে ডেকে একত্র করে ইসলামের দাওয়াত দেয়া শুরু করেননি। প্রথমে দু একজনকে গোপনে গোপনে ইসলামের দাওয়াত দিতে আরম্ভ করেন; তারা যে সব শিরক, কুফর ও ফিতনা-ফ্যাসাদে নিমগ্ন, তার পরিণতি সম্পর্কে তাদের সতর্ক ও ভয় পদর্শন করেন। শুরুতেই তাদের যাবতীয় অপকর্মের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করা আরম্ভ করেননি বরং প্রথমে তিনি তাদের তাওহীদের দাওয়াত দেয়া আরম্ভ করেন। তাওহীদের দিকে দাওয়াত দেয়ার মাধ্যমেই তিনি তার মিশনটি আরম্ভ করেন। আল্লাহ তাআলা বলেন,
﴿يَٰٓأَيُّهَا ٱلۡمُدَّثِّرُ ١ قُمۡ فَأَنذِرۡ ٢ وَرَبَّكَ فَكَبِّرۡ ٣ وَثِيَابَكَ فَطَهِّرۡ ٤ وَٱلرُّجۡزَ فَٱهۡجُرۡ ٥ وَلَا تَمۡنُن تَسۡتَكۡثِرُ ٦ وَلِرَبِّكَ فَٱصۡبِرۡ ٧ [المدثر: 1-7]
হে বস্ত্রাবৃত! উঠ অত:পর সতর্ক কর। আর তোমার রবের শ্রেষ্ঠত্ব ঘোষণা কর। আর তোমার পোশাক-পরিচ্ছদ পবিত্র কর। আর অপবিত্রতা বর্জন কর। আর অধিক পাওয়ার আশায় দান করো না। আর তোমার রবের জন্যই ধৈর্যধারণ কর[2]

ইসলামী বিধান ও আধুনিক বিজ্ঞান-২



 অর্থ : তারা (স্ত্রী) তোমাদের পোশাক স্বরূপ এবং তোমরা তাদের পোশাক স্বরূপ। (সূরা বাকারা, ২: ১৮৭ আয়াত)।
স্বামী স্ত্রীর সম্পর্ক শুধু যৌন মিলন নয়, বরং সেই সম্পর্ক প্রেম ভালবাসার। তারা একে অপরের সুখ দুঃখের অংশীদার। তাদের মধ্যে এমন সহচার্য ও সংযোগ / সংস্পর্শ হবে যেমন হয় শরীর এবং পরিধেয় বস্ত্রের মধ্যে। উভয়ের মধ্যে এমন সম্পর্ক ইসলামী সমাজের ভিত্তি প্রস্তরের মত। বিবাহিতা নারী যেমন স্বামীর অধীন, ঠিক তেমনি অবিবাহিতা নারী পরিবারের দায়িত্বশীল ব্যক্তির অধীন। কিন্তু এ অধীনতার অর্থ এই নয় যে, তার ইচ্ছা এবং কাজের কোন স্বাধীনতা নেই, অথবা তার নিজের ব্যাপারে তার কোন স্বাধীনতা নেই। এর আসল মর্ম হচ্ছে সামাজিক ব্যবস্থাকে ফাটল ও বিশৃংখলা হতে রক্ষা করা। পরিবারের চরিত্র ও কার্যকলাপকে ভিতর ও বাহিরের বিপদ হতে রক্ষা করার দায়িত্ব পুরুষের। এই শৃংখলা রক্ষার জন্যই নারীর অপরিহার্য কর্তব্য হল, এই শৃংখলা রক্ষার দায়িত্ব যার সে তার আনুগত্য করবে। তা সে তার স্বামী হোক, পিতা হোক অথবা ভাই হোক।
আর নারী তার উন্নতি ও সাফল্যের উচ্চ শিখরে আরোহণ করবে। তবে তার উন্নতি ও সাফল্য যা কিছুই হবে তা নারী হিসাবে হতে হবে। তার পুরুষ সাজার কোন অধিকার নেই এবং পুরুষোচিত জীবন যাপনের জন্য তাকে গড়ে তোলা তার জন্য কিংবা সমাজের জন্য মঙ্গল নেই।
 কোন সন্দেহ নেই যে, মুসলিম রমণী ইসলামী শরীয়ত থেকে প্রচুর সম্মান লাভ করেছে যা তার সতীত্ব এবং সম্ভ্রম রক্ষার জন্য যথেষ্ট এবং যা তাকে উচ্চ মর্যাদা ও শীর্ষস্থান দান করে ধন্য করেছে।
 ইসলামে অশ্লীল কাজ হারাম কেন এবং যিনা করায় দোষ কি?
 ইসলাম হলো সার্বিক সুস্থতার পথ প্রর্দশক। সুস্থ উপায়ে বাঁচার গ্যারান্টিসহ সমস্ত জীবনের শান্তি ও নিরাপত্তা আছে একমাত্র ইসলামের কল্যাণকর জীবন বিধানে। কারণ ইসলাম মানব জাতির কল্যাণের জন্য যত প্রকার আদেশ নির্দেশ প্রদান করেছে তা যেমন মানব জীবনের সকল ক্ষেত্রে বাস্তবে প্রমাণ করেছে, চিরস্থায়ী সাফল্যের যুগান্তকারী দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে, তেমনটি কোন ধর্ম বা মতবাদ সফলতা অর্জন করতে পারেনি। ইসলামের এই পরিপূর্ণ সাফল্যের কারণেই পবিত্র কুরআনকে মানব জীবনের পরিপূর্ণ জীবন বিধান বলা হয়।
ইসলাম শব্দটির মানেই হচ্ছে শান্তি। অর্থাৎ এর আইন কানূন, আদেশ, নিষেধ, অনূসরণ ও অনুকরণ মানব জীবনের ব্যক্তিগত, সমষ্টিগত, পারিবারিক, রাষ্ট্রীয় এবং জাতীয় সর্বক্ষেত্রে শান্তি এবং শৃংখলা বয়ে আনে যা আধুনিক যুগের বৈজ্ঞানিক যুক্তি-তর্ক, বিচার বিশ্লেষণসহ একটি পরীক্ষিত সত্য হিসাবে প্রমাণিত হয়েছে। কারণ পৃথিবীর সকল ধর্ম, মতবাদ, চিন্তা-চেতনা, যুক্তি-তর্ক যখন ব্যর্থতায় পর্যবসিত হয়েছিল, সমগ্র পৃথিবীর মানব সমাজ যখন বিশৃংখলতায় নিপতিত হয়ে অনিবার্য ধ্বংসের সম্মুখীন হয়েছিল ঠিক তখনই ইসলাম ধর্মের আগমন ঘটে এবং কি ভাবে সমাজে শান্তি-শৃংখলা প্রতিষ্ঠা করা যায় তার নিয়ম কানূন শিক্ষা দিয়ে ইসলাম পৃথিবীতে শান্তি-শৃংখলা পুনঃ প্রতিষ্ঠিত করেছে, ইতিহাস তার জলন্ত স্বাক্ষী।
পবিত্র কুরআনের মহান শিক্ষা তথা ইসলামী জীবন বিধান ও চিন্তা চেতনা থেকে মানুষ বহু দূরে সরে যাওয়ার কারণেই মানব সভ্যতার আজ এ অধঃপতন। তাই আজ তারা (মানবতা) লাঞ্ছিত, অপমানিত, পদদলিত হচ্ছে পদে পদে। বৈজ্ঞানিক উন্নতি, অগ্রগতি ও সমৃদ্ধি পাশ্চাত্য তথা উন্নত বিশ্বকে ঐশ্বর্য দান করেছে, প্রচুর বিত্তশালী করেছে, কিন্তু ঐ সমস্ত ঐশ্বর্য সুখ সামগ্রী তাদেরকে শারীরিক এবং মানসিক শান্তি থেকে বঞ্চিত করেছে। আজ বড়ই প্রয়োজন কুরআনকে গভীর ভাবে উপলদ্ধি করা ও রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের পবিত্র বাণীকে বুদ্ধি ও বিজ্ঞানের নিরপেক্ষ উজ্জ্বল আলোকে বিশ্লেষণ করে নিজেদের মধ্যে বাস্তবায়ন করা। আল্লাহ রাব্বুল আলামীন মানব জাতির জন্য অশ্লীলতা হারাম করেছেন। যিনা ও অশ্লীলতার ভয়াবহ পরিণাম সম্পর্কে তিনি বলেন :
وَلَا تَقْرَبُوا الزِّنَا إِنَّهُ كَانَ فَاحِشَةً وَسَاءَ سَبِيلًا ﴿৩২الاسراء﴾
 তোমরা যিনা ব্যভিচারের নিকটবর্তী হয়ো না, কেননা তা অত্যন্ত নির্লজ্জ কাজ এবং খুবই খারাপ পথ। (সূরা আল ইসরা, ১৭ : ৩২ আয়াত)।
অন্যত্র বর্ণিত হয়েছে :
وَلَا تَقْرَبُوا الْفَوَاحِشَ مَا ظَهَرَ مِنْهَا وَمَا بَطَنَ(الانعام ১৫১)
অর্থ : লজ্জাহীনতার যত পন্থা আছে, উহার নিকটেও যাবে না, তা প্রকাশ্যেই হোক অথবা গোপনীয় হোক। (সুরা আনআম, ৬: ১৫১ আয়াত)।
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ
خمسٌ إذا ابتُلِيتُم بِهِنَّ وَ اعُوذُ بالله أنْ تُدْرِكوْهُنَّ لمْ تَظْهَرِ الْفَاحِشَةُ فى قَوْمٍ قَطُّ حتّى يعْلِنُوْا بِهَا الاّ فَشَا فِيهِم الطًّاعُونُ والاوجاعُ الّتى لم تَكُنْ مَضَتْ فى أسلافِهِم الذين مَضَوا (رواه ابن ماجه)
অর্থ : পাঁচটি জিনিস দিয়ে তোমাদেরকে পরীক্ষা করা হবে। সেই জিনিসগুলোর সম্মুখিন হওয়া থেকে আমি আল্লাহর কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করছি। যখন কোন জাতির মাঝে ব্যভিচার ও অশ্লীলতা প্রকাশ পায় এমনকি তা তারা ঘোষণা দিয়ে প্রকাশ্যে করতে থাকে তখন তাদের মঝে মহামারি, প্লে¬গ ও জনপদ বিধ্বংসী ব্যাধি দেখা দিবে যা তাদের পূর্ব পুরুষদের মাঝে ছিল না। অর্থাৎ যিনা যদি কোন সম্প্রদায়ের মধ্যে বহুল প্রচলিত হয়ে পড়ে তাহলে তাদের মধ্যে এমন রোগ দেখা দিবে যা আগে ছিল না। (বাইহাকী, ইবনে মাজাহ)
যদি কোন শহরে যিনা ও সুদের লেনদেন সাধারণ ভাবে প্রচলিত হতে থাকে তখন ঐ শহরবাসীর উপর আল্লাহর বিবিধ প্রকার আযাব গযব নাযিল করা হালাল হয়ে যায়। (বুখারী ও মুসলিম) যখন কোন সমাজে ব্যাপক ভাবে ব্যভিচার প্রকাশ পাবে তখন তাদের মাঝে চিকিৎসার অনুপযোগী ব্যাধিসহ মহামারী আকারে রোগ ব্যাধি দেখা দিবে। ( মুয়াত্তা)।